গরমে বন্যপ্রাণীদের বাঁচাতে বিশেষ পানীয়ের ব্যবস্থা বন দফতরের

WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

দুর্গাপুর, ১৯ এপ্রিল ২০২৪: সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে‘ কবি সুকুমার রায়ের লেখনী মিলিয়ে প্রকৃতি ধরা দিচ্ছে রুদ্র বেশে। লু বইছে। কার্যত গৃহবন্দি আমজনতা। পর্যটনস্থানগুলিতে দেখা নেই কোনও পর্যটকের। বিপাকে জঙ্গলের পশু পাখিরাও। জঙ্গলের গভীরে আশ্রয় নিচ্ছে তারা।

কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত অরণ্যে রয়েছে প্রায় ১০০ হরিণ, ৫০০ এর বেশি ময়ূর, নীল গাই, সজারু সহ নানা বন্যপ্রাণী। বছরের অন্যান্য সময় সহজেই দেখা মেলে তাদের। দুর দূরান্তের পর্যটকরা আসেন তাদের দেখতে। এখন সূর্য অস্ত গেলে দুএকজন পর্যটককে দেখা যাচ্ছে। তীব্র দহনে যাতে বন্যপ্রাণীরা অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বর্ধমান বনবিভাগের দুর্গাপুর বনাঞ্চল।

( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466 )

দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে সংরক্ষিত অরণ্যের ভেতর হরিণদের খাওয়ানো হচ্ছে ওআরএস। দুপুরে দেওয়া হচ্ছে কাঁচা শাক সবজি, তরমুজ। বনদফতরের চিকিৎসকেরা দিনে অন্তত একবার করে হরিণদের দেখভাল করছেন। জঙ্গলের ভেতর ডাল, পাতার ছাউনি করে শীতল জায়গা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত অরণ্য ছাড়াও তার বাইরে দেউলের গোটা জঙ্গলেই এমন ভাবে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলের সাথে ওআরএস মিশিয়ে রাখা হচ্ছে। ময়ূর, পাখি থেকে শুরু করে অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাচ্ছে সেই ওআরএস মিশ্রিত জল। এভাবেই বন্যপ্রাণীদের প্রখর গ্রীষ্মের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!