গাছতলায় জলন্ত মহিলাকে দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়
দুর্গাপুর দর্পণ, ২০ মে ২০২৪: পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার কাঁটাবেরিয়া গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সম্পত্তির লোভে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ভাইপোদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় কাতর আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। সামনেই আমড়া গাছের তলায় দাউ দাউ করে জ্বলছে এক মহিলা। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে তাঁরা হতভম্ব হয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। রাতে তিনি মারা যান। মৃতার নাম চায়না বাউরি (৫৩)।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মৃতার ছেলে প্রদীপের অভিযোগ, কাঁটাবেড়িয়া এলাকার নিজের বাড়ি থেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মা-বাবা ও তাঁদের এলাকা ছাড়া করেছিল তার মামার ছেলেরা। তারপর থেকে মা-বাবা কখনও দিদিদের বাড়িতে, কখনও তাঁদের বাড়িতে থাকতেন। মাঝে মধ্যে মা কাঁটাবেড়িয়ার বাড়িতে যেতেন। তখন মামার ছেলে বাবলু বাউরি, কার্তিক বাউরি এবং তার স্ত্রী সরস্বতী বাউরী এবং সরস্বতীর দাদা ঠাকুর তাঁর মায়ের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ প্রদীপের।
রবিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীদের কাছে খবর পেয়ে তিনি কাঁটাবেড়িয়ায় গিয়ে দেখেন, বাড়ির বাইরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছেন মা। বাড়ির ভেতরে কেরোসিন ঢেলে আগে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি কিন্তু আগুনে শরীরের অধিকাংশ ঝলসে যায়। হাসপাতালে তিনি বাবলু, সরস্বতী সহ চারজনের দিকে অভিযোগের ইঙ্গিত দেন।
প্রদীপের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল মামার ছেলেদের সঙ্গে তাঁর মায়ের। সেই জন্যই নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হল তাঁকে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাউরি সমাজকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।