কুনুর নদী ভরাট করছে জমি কারবারীরা, মাথায় হাত চাষীদের

WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

কাঁকসা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার মলানদিঘি ও কুলডিহার মাঝ বরাবর বয়ে চলেছে কুনুর নদী। নদীর জলে চাষ হয় কয়েকশো বিঘা জমি। বহু মৎস্যজীবীও জীবিকা নির্বাহ করেন এই নদীর উপর ভরসা করেই। এমনিতেই নদীর পাশে গড়ে ওঠা বহু কারখানার বর্জ্য ভেসে যায় কুনুরের জলে। এবার কুনুরে থাবা বসিয়েছে জমি কারবারিরা। নদীর একাংশ ভরাট করতে শুরু করেছে তারা। কাঁকসার বিডিও-র কাছে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী থেকে পঞ্চায়েত সদস্যরা।

মলনদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় বাদ্যকরের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে তাঁরা লক্ষ্য করছেন, জেসিবি লাগিয়ে নদীর একাংশ ভরাট করা হচ্ছে। এইভাবে ভরাট করা হলে বর্ষার সময় গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। ভেঙে যাবে নদীর পাড়ও। তবে কারা করছেন বুঝে উঠতে পারছেন না। শুক্রবার কাঁকসার বিডিওর কাছে তাঁরা সেই অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্রুত ভরাট বন্ধের দাবিও তুলেছেন।

(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )

মলানদিঘি অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি অনন্ত রূপ ব্যানার্জি বলেন, “পাশের বেশ কিছু জমি কিনে সেই জমিতে কাজ করার সঙ্গে সুযোগ বুঝে কুনুর নদীর একাংশও দখল করে নিচ্ছে জমি কারবারিরা। বাইরের জমি কারবারিরা এই কাজ করছে।’’ তাঁরা বিডিওর পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “এই কাজ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদকে না জানিয়েই করা হচ্ছে। পুলিশকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।” বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের আমলে সবই চুরি হচ্ছে। নদীও বাদ যাচ্ছে না। যে কুনুর নদীর জলে সোনার ফসল ফলে সেই কুনুর নদীই দখল হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের মদতে একাজ হচ্ছে তাই হাত গুটিয়ে বসে আছে প্রশাসন।” মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে পরিষ্কার নয়। তবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!