সনাতন গড়াই, কাঁকসা: বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্রে বর্জ্য আনা-নেওয়ার জন্য তিনটি টোটোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনটি টোটো থেকেই ব্যাটারি চুরি যায়। প্রায় এক মাস পরে সেই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত। যা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা।
কয়েক মাস আগে কুনুর নদের পাশে গড়ে ওঠে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্র। টোটোতে করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করে এনে তা প্রক্রিয়াকরণ করে কেঁচো সার তৈরি করে বিক্রি করার কথা ছিল। এলাকারই সবুজ সাথী নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ওই প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী ও নেতা। কিছুদিনের মধ্যেই তিনটি বর্জ্যবাহী টোটোর ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়। এক মাস ধরে সেই ব্যাটারি চুরির কোনও অভিযোগই করা হয়নি থানায়। উল্টে সেই চুরি ঢাকতে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া করার তোড়জোড় শুরু করেছিল পঞ্চায়েত, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। পঞ্চায়েতেরই একাধিক সদস্য আবার অভিযোগ করেছেন, সেই টেন্ডারে অতিরিক্ত দামে ব্যাটারি কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
যদিও ঘটনা জানাজানি হতেই সেই টেন্ডার আটকে দেওয়া হয় ব্লক অফিস থেকে। তারপরেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মালানদিঘি ফাঁড়িতে ব্যাটারি চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিভাস ঘোষের দাবি, “সরকারি সম্পত্তি চুরি হয়ে যাওয়ার পরেও অভিযোগ করেনি ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই খবর আমরা পাওয়া মাত্রই পঞ্চায়েতের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। ঘটনার সাথে যেই যুক্ত থাকুক না কেন তার শাস্তি দাবি করছি।”
বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”একমাস আগে চুরি হয়েছে। পঞ্চায়েত এতদিন ঘুমাচ্ছিল? mরকারি সম্পত্তি কিভাবে লুট হচ্ছে তা বাংলার মানুষ জানতে চাইছে।” যদিও, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতগত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা চাইছি, সরকারি জিনিস চুরির তদন্ত হোক। চুরির পর হঠাৎ করে কোনও কিছুর টেন্ডার করা যায় না। তাই টেন্ডারও হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।