
জলের চাপে সেই লকগেট বেঁকে গিয়ে হুড় হুড় করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে দামোদরের ব্যারাজ থেকে বের হওয়া বর্ধমান সেচ ক্যানাল দিয়ে।
————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২ নভেম্বর ২০২৩: দীর্ঘদিন ধরে উপযুক্ত সংস্কার হয়নি লকগেটের। জলের চাপে সেই লকগেট বেঁকে গিয়ে হুড় হুড় করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে দামোদরের ব্যারাজ থেকে বের হওয়া বর্ধমান সেচ ক্যানাল দিয়ে। সেচ ক্যানাল দিয়ে জল বেরিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষীরা। দ্রুত লকগেট মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে সেচ দফতর।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন,ব্যারাজের বর্ধমান সেচ ক্যানেলের ৫ নম্বর লক গেটের দু’দিক দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারেন, লক গেট বেঁকে গিয়েই এই বিপত্তি। খবর দেওয়া হয় সেচ দফতরের আধিকারিকদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জং ধরেছে লক গেটগুলিতে। আর সেই জন্য ঠিকমতো ওঠা নামাও করে না লকগেটগুলি।তাঁরা জানান, যত দিন যাচ্ছে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে গেট গুলি। বর্ধমান সেচ ক্যানালে যে ছ’টি লকগেট রয়েছে সবগুলিরই প্রায় এক দশা। যে কোনও সময় ভেঙে বা বেঁকে যেতে পারে। অথচ এই সেচ ক্যানালের উপরেই ভরসা করে আমন এবং বোরো ধান চাষ হয় গ্রামীণ বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আমন ধান ওঠার মুখে আচমকা এই বিপত্তির জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষীদের কপালে।
যদিও সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার চিত্তরঞ্জন সোরেন বলেন, ‘‘৫ নম্বর লকগেটটি বেঁকে গিয়েছে। জলের চাপ কমাতে অন্যান্য লকগেটগুলিও কিছুটা করে খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যারাজ থেকে বর্ধমান সেচ ক্যানালে জল পাঠানোর জন্য ব্যারাজে ৮টি লকগেট রয়েছে। সেই লকগেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, সেখান থেকে বর্ধমান সেচ ক্যানাল পর্যন্ত জমা জল বেরিয়ে গেলেই বেঁকে যাওয়া লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি জানান।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের এসডিও সৌমেন ঘোষ। সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল) গৌতম বোস জানান, জল কমে গেলেই এই লকগেটটি পরিবর্তন করা হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বাকি লকে গেটগুলিও পরিবর্তন করা হবে বলে তিনি জানান। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।