দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৩০ মার্চ ২০২৪: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদের জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট চাইলেন পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। শনিবার দুর্গাপুরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াবাজারে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে পাশে দাঁড় করিয়ে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে এমনটাই বলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমি আমরা দেব। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত পুনর্বাসন পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এক চুল সরব না। লোকসভার ফল প্রকাশের পর দিনই কীর্তি আজাদকে সঙ্গে নিয়ে পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করবো। শুধু আপনারা প্রস্তুত থাকুন দিল্লি যাওয়ার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে কেটে দেওয়ার জন্য। এমনটাই বলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
তিনি বর্ধমান দুর্গাপুরের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে কটাক্ষ করে বলেন, পাঁচ বছরে কোন উন্নয়ন করেননি। সাংসদের কাছে সার্টিফিকেট পেতেও হিমশিম খেতে হয়েছে এলাকার মানুষদের। নিজের দলের লোকেরাই বলেছে ‘তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই’। দলও বুঝতে পেরে তাঁকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাঁর জায়গায় বর্ধমান দুর্গাপুরে অন্য একজনকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে।এদিন প্রার্থী কীর্তি আজাদের হাত ধরে কয়েকশো বিজেপির কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন।
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চান না শিল্প হোক, গরিব মানুষরা বাড়ি পাক। উনি তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে মায়াবাজারবাসীর কাছে ভোট চেয়েছেন। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিল্লিতে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিল্প গড়ে বেকার সমস্যা দূর করতে চান। গরিব মানুষদের পুনর্বাসনও দিতে চান। বিজেপির একজনও তৃণমূলে যোগ দেয়নি, মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)