মৌনিরও নিন্দা হয়: গৌতম বুদ্ধ বলছেন, যে চুপ করে বসে থাকে তারও নিন্দা হয়। আবার যে বেশি কথা বলে তারও। যে কম বলে তারও। পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যার শুধুই নিন্দা কিংবা প্রশংসা হয়। কেউ রাজার নিন্দা করে তো কেউ প্রশংসা করে। তেমনই পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্রেরও।
মানুষ যখন জীবনের গাড়িতে বসে নানারকম লোক নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে তার কোন কিছুই পরোয়া করা উচিত নয়, কেবল নিজের গন্তব্যে দৃষ্টি রেখে চলা উচিত। যদি সে সব লোকের ইচ্ছানুযায়ী গাড়ি চালাতে থাকে তাহলে সে কখনও পৌঁছতে পারবে না। কারণ কিছু লোক এখানেই থামতে চাইবে, কিছু লোক আরও এগিয়ে, কেউ চাইবে গাড়ি জোরে চলুক, কেউ চাইবে গাড়ি আস্তে চলুক।
তেমনই নিজের ভিতরেও কত রকমের ভাব আছে। রাগ আছে, দ্বেষ আছে, ঈর্ষা আছে, লোভ আছে। এরাও সবাই নিজের নিজের ইচ্ছানুসারে আমাদের চালাতে চাইবে। যদি এদের ইচ্ছায় চলা হয় তাহলে চালকের কি হবে? তাই চালকরূপী মানুষের উচিত যাত্রীরূপী বাইরের লোক ও ভিতরের কাম বাসনার পরোয়া না করে এগিয়ে চলা। দ্বেষজনিত কারণেই নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ এই সংসারে সর্বস্তরের লোকেদের নিন্দা করে। যীশুর মতো মানুষকেও শূলে চড়ানো হয়, সক্রেটিসকে বিষ পান করানো হয়। (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)