![](https://i0.wp.com/durgapur24x7.com/wp-content/uploads/2023/06/sun.jpeg?fit=1080%2C720&ssl=1)
নিজেকে শোধরাও: সংসারের জ্বালা যন্ত্রণা, নির্যাতন, ঝগড়া, মনোমালিন্য, অশান্তির কথা ক্রমাগত ভেবে ভেবে, হাহুতাশ করে মন খারাপ করা ঠিক নয়। এসব নিয়ে মনে মনে বা অপরের সঙ্গে যত আলোচনা করা হবে তত অশান্তি বেড়ে যাবে, একগুণ দশগুণ হয়ে দাঁড়াবে ও জীবন দুর্বিসহ বোধ হবে।
পরমার্থ প্রসঙ্গে স্বামী বিরজানন্দ বলছেন, যত পার সহ্য করে যাবার চেষ্টা করে যাবে। কথায় কথা বেড়ে যায়। তাই কেউ কিছু বললে উপেক্ষা করে চুপ করে থাকাই ভাল। বোবার শত্রু নেই। যে সয় সেই রয়, যে না সয় সে নাশ হয়—ঠাকুর বলতেন। মিষ্ট কথায়, মিষ্ট ব্যবহারে, সেবায় ভালবাসায় সকলেই বশ হয়, আজ না হয় দুদিন পরে। মনে খুব জোর সংকল্প আনবে, বার বার বিফল হলেও শোধরাতে চেষ্টা করবে, ভগবানের কাছে তোমার সব দুঃখ জানাবে, কাঁদবে, অন্তরের সঙ্গে প্রার্থনা করবে তোমার সব দোষ ত্রুটি দূর করে দিতে।
অপরকে শোধরাতে যাওয়া বৃথা, পাগলামি, নিজেকেই শোধরাতে হয়। কারও ওপর দ্বেষভাব রাখবে রাখবে না। আপনি ভাল তো জগৎ ভাল। এযদি না পার তো সে তোমার দোষ ও তার ফলও নিজেকে ভুগতে হয়। বিষয়ের বা কারও প্রতি আসক্তি বা মমত্ববুদ্ধিই সমস্ত সংসার বন্ধনের মূল কারণ। জ্ঞানীই প্রকৃত প্রেমিক।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)