আধ্যাত্মিক সুভাষ: মাতা ঠাকুরাণীকে এক পত্রে সুভাষচন্দ্র লিখছেন, ভগবানের দয়ার অভাব নেই, জীবনের প্রতি মুহূর্তে তাঁর দয়ার পরিচয় পাওয়া যায়। তবে আমরা অন্ধ, অবিশ্বাসী, ঘোর নাস্তিক, তাই তাঁর দয়ার মাহাত্ম্য বুঝতে পারি না। দুঃখে পড়লে তাঁকে ডাকি, অনেকটা প্রাণ খুলে ডাকি কিন্তু যেই দুঃখ দূর হল, সুখের আলোক আসতে লাগলো অমনি আমাদের ডাকা বন্ধ হল আর আমরা তাঁকে ভুলে গেলাম।
এই জন্যেই তো কুন্তিদেবী বলেছেন, “হে ভগবান! আমাকে সর্বদা বিপদের মধ্যে রাখিও; তাহলেই আমি সর্বদা তোমাকে প্রাণ খুলে ডাকতে পারব। সুখের সময় তোমাকে ভুলে যেতে পারি অতএব আমার সুখের প্রয়োজন নেই।” আমাতে পশুতে প্রভেদ এই যে পশুরা ভগবানকে বুঝতে বা বুঝে ডাকতে পারে না আর আমরা চেষ্টা করলে তা পারি। এ ভবে এসে যদি ভগবানের নাম না করতে পারলাম তবে এখানে আসা আমার বিফল হলো।
জ্ঞান বড় জিনিস, ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে তা ধরবে না, তাই ভক্তি চাই, জ্ঞান এখন চাই না। তর্ক করতে চাই না কারণ আমি অজ্ঞ ও অন্ধ। এখন চাই কেবল বিশ্বাস, অন্ধবিশ্বাস, শুধু হরি আছেন এই বিশ্বাস, আর কিছু চাহি না। ভক্তি বিশ্বাস থেকে আসবে এবং জ্ঞান ভক্তি থেকে আসবে। মহর্ষিগণ বলেছেন ভক্তি জ্ঞানের জন্য ধাবিত হয়।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)