সর্বোৎকৃষ্ট দানই সেবা: নেতাজী তাঁর বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে এক পত্রে লিখেছেন, আমি একথা সম্পূর্ণ মানি যে, প্রত্যেকেরই নিজের ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের মধ্যে যা সর্বোৎকৃষ্ট, তার দানই হচ্ছে প্রকৃত সেবা। আমাদের অন্তরপ্রকৃতি, আমাদের স্বধর্ম যখন সার্থকতা লাভ করে, তখনই আমরা যথার্থ সেবার অধিকারী হই।
এমার্সনের কথায় বলতে হয়, নিজের ভিতর থেকেই আমাদের গড়ে উঠতে হবে; তাতে আমরা সকলেই যে এক পথের পথিক হব এমন কোন কথা নেই, যদিও একই আদর্শ হয়ত আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। শিল্পীর সাধনা কর্মযোগীর সাধনা থেকে ভিন্ন, তপস্বীর যে সাধনা বিদ্যার্থীর সে সাধনা নয়, কিন্তু আমার মনে হয় এ সকলের আদর্শ প্রায় একই। নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।
তাই আত্মোন্নতি ও আত্মবিকাশের পথ নিজের প্রকৃতিই দেখিয়ে দেবে। প্রত্যেক ব্যক্তি যদি নিজের শক্তি ও প্রকৃতি অনুসারে নিজেকে সার্থক করে তুলতে পারে, তাহলে অচিরেই সমগ্ৰ জাতির নব-জীবন দেখা দেয়। সাধনার অবস্থায় হয়ত মানুষকে এমনভাবে জীবন-যাপন করতে হয় যাতে তাকে বাইরে থেকে স্বার্থপর ও আত্মসর্বস্ব মনে হতে পারে।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)