দুর্গাপুর দর্পণ, বাঁকুড়া, ২৫ জুন ২০২৩: মালগাড়ির (freight trains) চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি। দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি মালগাড়ির পিছনে জোর ধাক্কা মারে সেটি। ইঞ্জিন গিয়ে উঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটির উপর। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক বগি। দুটি মালগাড়ির ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দার ঘটনা। ভোর ৪টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার জন্য চালকের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মণীশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত মালগাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি তিনি। সিগন্যাল লাল ছিল। পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে সেট করা ছিল। সেখানে অন্য মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পিছন থেকে সেই মালগাড়িটিতে ধাক্কা মারেন চালক।
বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। একটি মালগাড়ির কেবিনে থাকা দু’জন চালককে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা স্টেশনে পৌঁছে দেন। দুর্ঘটনার জেরে ছিঁড়ে যায় ওভারহেড তার। ফলে আদ্রা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বাতিল করা হয় পুরুলিয়া-হাওড়া, আসানসোল-দিঘা, আদ্রা-খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, বিষ্ণুপুর-আদ্রা প্যাসেঞ্জার, বিষ্ণুপুর-ধানবাদ, খড়্গপুর-আসানসোল, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হাতিয়া এক্সপ্রেস, গোমো-খড়্গপুর, আদ্রা-আসানসোল, আসানসোল-টাটা মেমু। এ ছাড়া, আনন্দবিহার টার্মিনাল-পুরী এক্সপ্রেস আদ্রা-টাটা-হাতিয়া লাইনে এবং পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি এক্সপ্রেস পুরুলিয়া-টাটা-খড়্গপুর লাইনে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল। #TrainAccidentinWB