অমৃত বচন: আস্তিক-নাস্তিক: নাস্তিক মানুষ বড়ই একঘেয়ে, নীরস ও মতান্ধ। সে নিজের মত ছাড়া অন্য সবকিছুকে মিথ্যা বলে ভেবে নিয়েছে। তার দরজা-জানালা বন্ধ। অন্য কোন মতকে সে বুঝতে রাজি নয়। অন্যদিকে আস্তিক মানুষ আস্তিকতা-নাস্তিকতার মধ্যে দোদুল্যমান। কখনো সে কালীমন্দিরে গিয়ে হৃদয়ের অকপট শক্তি দিয়ে মাকে প্রণাম করছেন, কখনো বা মন খারাপ থাকায় মা’র উপর রাগ করছেন। কখনও মায়ের উপর সন্দেহ আসছে।
রামপ্রসাদ-রামকৃষ্ণ আবোলতাবোল বলে যাননি তো! দুজনেই অল্পশিক্ষিত মানুষ ছিলেন বলে মনের ভ্রমে নিজের কল্পনাকেই আদ্যাশক্তি বলে দেখতেন না তো? নাস্তিকতা ছেয়ে যায় আস্তিকের মনে। কখনও উঠছেন, কখনো পড়ছেন। কখনও মনের আনন্দে এগোচ্ছেন, কখনো দুঃখের আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।এটাই আস্তিক মানুষের সৌন্দর্য। তিনি কখনো একঘেয়ে নন।
একটি শিশু হাঁটতে গিয়ে বারবার পড়ে যায় এতে দুঃখের কিছু নেই, অপমানের কিছু নেই, হতাশা নয়। কারণ এটাই স্বাভাবিক। এই চেষ্টাই সাধনা। পরাজয় ব্যর্থতাকে ভক্ত নিজ অঙ্গের ভূষণ বলেই জানেন। অসীম অনন্তকে ধরতে তিনি এগিয়েছেন সীমিত শক্তি নিয়ে। তাই তিনি ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত। ভক্ত জানেন শিশুর ডাকে মাকে আসতেই হবে।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)।