![](https://i0.wp.com/durgapur24x7.com/wp-content/uploads/2023/06/child.jpg?fit=1280%2C853&ssl=1)
দুর্গাপুর দর্পণ, কাটোয়া, ১০ আগস্ট ২০২৩: মর্মান্তিক বললেও কিছুই বলা হয় না। এর আগে কখনো এমন কিছু দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সরা। একটি শিশুর দেহ দু টুকরো। উপরের অংশ পিসির কোলে। পায়ের দিকটি দাদুর কোলে। হাসপাতালে আনার পথেও সে কথা বলেছে। তবে হাসপাতালে যখন তাকে আনা হয়, তখন আর কারোর কিছু করার ছিল না।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের (purba Bardhaman) কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপে। খড়বোঝাই মোটরচালিত ভ্যানের চাকায় দুই টুকরো হয়ে যায় ৫ বছরের শিশু চন্দন হালদারের দেহ। অগ্রদ্বীপ গোপীনাথ তলার কাছে তার বাড়ি। অগ্রদ্বীপ ঘাট থেকে বেথুয়াডরি রোডে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৎস্যজীবী আদিত্য হালদার ও চম্পা হালদারের দুই ছেলের মধ্যে ছোট চন্দন। ঠাকুরমা পারুলদেবীর সঙ্গে প্রতিবেশী একটি বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়েছিল চন্দন।
ঠাকুরমার সঙ্গে হেঁটে ফেরার সময় খড়বোঝাই মোটরচালিত ভ্যানটি শিশুটিকে ধাক্কা মারে। ঠাকুরমার হাত থেকে রাস্তায় ছিটকে পরে চন্দন। সেই সময় ভ্যানের চাকা চলে যায় তার পেটের উপর দিয়ে। দেহ দু’খন্ড হয়ে যায়। পুলিশ এসে দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দাদু অর্জুন হালদার ও পিসি আদুরি হালদার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন চন্দনকে। সময় লাগে প্রায় ৪৫মিনিট। হাসপাতালের গেট পর্যন্ত কথা বলে চন্দন। কিন্তু তারপরেই নিথর হয়ে যায় চন্দনের দেহ।