দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩: বন্ধ রাজ্য সরকারের কারখানা পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেডের (ডিসিএল) সামনে শনিবার অস্থায়ী শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমডি উৎপল বিশ্বাস এদিন কারখানায় আসবেন শুনে তাঁরা আসেন। তাঁদের বক্তব্য, ৩১ ডিসেম্বর গেট পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারপরে আর তাঁদের কাজ থাকবে কি না তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাজ্য সরকার লাগাতার লোকসানে চলা ডিসিএল কারখানার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৬ সালে। তখন থেকেই অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকেন কর্মীরা। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ে। যদিও সরকার বসিয়ে বসিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী, দুই ধরণের শ্রমিকদেরই এতদিন বেতন দিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি কারখানার প্রায় ১২০ জন স্থায়ী শ্রমিককে রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরে বদলি করে সমস্যা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, ২১১ জন অস্থায়ী শ্রমিকের গেটপাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। নতুন করে গেটপাসের মেয়াদ আর বাড়বে কী না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অস্থায়ী শ্রমিকেরা। সেজন্যই এদিন তাঁরা এমডির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আগে থেকে কারখানার গেটে এসে সমবেত হন।
এমডি এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে অস্থায়ী শ্রমিকেরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে অস্থায়ী শ্রমিকদের তরফে উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস, অনিমেষ মন্ডল জানান, গেট পাসের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী শ্রমিকদেরও সরকারের অন্য দফতরে বদলির বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা চলছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। যদিও সামান্য মাইনেতে কীভাবে অন্যত্র তাঁরা কাজ করতে যাবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘আমরা অস্থায়ী শ্রমিকদের পাশে আছি। তাঁদের বসানো যাবে না।’’ বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্প নিয়ে এভাবেই বরাবর ছিনিমিনি খেলছে বর্তমান রাজ্য সরকার।’’ আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মীদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, বিকল্প ব্যবস্থা যাতে হয়, সেজন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রম দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।