দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪: মেডিকেলে সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের ইতিশা সরেন নামে এক ছাত্রী কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে। সোমবার সেই মামলা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সেই ইতিশার বাড়িতে সোমবার আসে রাজ্য দিশম আদিবাসী গাঁওতার প্রতিনিধিদল। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন আদিবাসী গাঁওতার কনভেনর শৈলমান মান্ডি। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইতিশার বাবা সুনীল সরেনের সঙ্গে কথা বলেন। ঘন্টা খানেক ছিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ইশিতার করা মামলার শুনানিতে গত ২৪ জানুয়ারি তদন্তে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়। তাই নিয়েই দুই বিচারপতির সংঘাত শুরু হয়।
এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। ওই বিশেষ বেঞ্চে আরও রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। সোমবার মামলার শুনানিতে এই মামলা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যে মামলার সব পক্ষকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ‘বিষয়টি বিচারাধীন’ হওয়ায় ইতিশার পরিবারের কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।