কুলকুণ্ডলিনী: যোগশাস্ত্রে বলে যে, মস্তিষ্ক থেকে মেরুদন্ডের নীচ পর্যন্ত একটা পথ আছে। তার নাম সুষুম্না। ঐ মেরুদন্ডের নীচে কুন্ডলিনী শক্তি ঘুমিয়ে আছে। গোটা সুষুম্না পথটাকে ছটা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একে বলা হয় ষটচক্র বা ষটপদ্ম। সবচেয়ে নীচে মেরুদন্ডের ঠিক নীচে হচ্ছে মূলাধার চক্র। তার একটু উপরে স্বাধিষ্ঠান চক্র,তারও একটু উপরে নাভির কাছে আছে মণিপুর চক্র,বুকের কাছে আছে অনাহত চক্র, গলার কাছে বিশুদ্ধ, তারও উপরে ভ্রুর মধ্যে আছে আজ্ঞাচক্র।
আর সুষুম্না যেখান থেকে শুরু হয়েছে আমরা যাকে ব্রহ্মতালু বলি, তার নাম সহস্রার। এই সহস্রারে আছেন ভগবান বা পরমাত্মা। আর মূলাধারে কুণ্ডলিনী শক্তি। পরমাত্মা বা ভগবান সবসময় এই কুণ্ডলিনীশক্তিকে আকর্ষণ করছেন। এই কুণ্ডলিনীশক্তি ঘুমিয়ে থাকলে মানুষ ঈশ্বরকে ভুলে বিষয় নিয়ে মেতে থাকে।
কিন্তু যখন মানুষ আধ্যাত্মিক পথে এগোতে চেষ্টা করবে তখন এই কুণ্ডলিনী শক্তির ঘুম ভাঙবে, ধীরে ধীরে সে সুষুম্না বেয়ে উপরে উঠতে থাকবে। এক একটা চক্রে সে পৌঁছবে,আর এক একরকম অনুভূতি হতে থাকবে মানুষের। কখনো হয়তো জ্যোতি দর্শন হবে। কখনো হয়তো প্রণব শুনতে থাকবে। সহস্রারে মন এসে সমাধিস্থ হয়।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)