গ্রামের শ্মশানের চতুর্দিকে জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। শ্মশানে অ্যাসবেস্টসের সেড সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়েছে।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২ ডিসেম্বর ২০২৩: সাংসদ অর্থ মঞ্জুর করেছেন তিন বছর আগে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাশোলের শ্মশান সংস্কারের কাজ হল না আজও। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজনৈতিক বেড়াজালেই আটকে রয়েছে এই কাজ, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে এলাকাবাসীর দাবি মেনে বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া খয়রাশোল এলাকার শ্মশান সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা মঞ্জুর করেন। এলাকাবাসীর আশা ছিল, সংস্কার হলে বেহাল শ্মশানের হাল ফিরবে। কিন্তু অর্থ মঞ্জুরের চার বছর পরেও শ্মশান ডুবে রয়েছে সেই অন্ধকারেই!
স্থানীয়দের অভিযোগ, শব দাহ করতে ৪ কিলোমিটার দূরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে যেতে হয়। কারণ, গ্রামের শ্মশানের চতুর্দিকে জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। শ্মশানে অ্যাসবেস্টসের সেড সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়েছে। শব দাহ করতে সমস্যায় পড়তে হয়। স্থানীয় বিজেপি কর্মী শোভন কেশ অভিযোগ করেন, সাংসদ সুন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বেহাল শ্মশান সংস্কারের জন্য অর্থ মঞ্জুর করলেও দুর্গাপুর পুরসভা সমস্ত নথি জমা দেওয়া হয়নি এই অজুহাত দেখিয়ে কাজ শুরু করেনি। অথচ সমস্ত নথি জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বর্ধমান দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত হুঁশিয়ারি দেন, সাংসদের অর্থ মঞ্জুর করা টাকায় দুর্গাপুর পুরসভা শ্মশান সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘তৃণমূল শ্মশান সংস্কার করবে কী? গোটা দুর্গাপুরটাকেই তো শ্মশানে পরিণত করেছে তৃণমূল।’’ তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখার্জি বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদ সঠিকভাবে পুরসভার ফান্ডে সাংসদ তহবিলের টাকা পাঠাননি। সেই জন্যই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’’ সঠিক নথি জমা দেওয়া হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।