সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১০ জানুয়ারি ২০২৪: ভর সন্ধায় হাত, পা বাঁধা যুবকের দেহ পড়ে পাথর খাদানে। ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। তদন্তে পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর থানার পারুলিয়া সংলগ্ন মোরাম খাদানে বুধবার সন্ধ্যায় হাত, পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অনিল ভুঁইয়া (২২)। বাড়ি নাচনের ড্যামপাড়া এলাকায়।
মৃত যুবকের মা সীতা ভূঁইয়ার অভিযোগ, তাঁর ছেলে অনিলের হাতে তার বন্ধু আকাশের নাম দিয়ে ট্যাটু করা ছিল। আকাশের সঙ্গে অনিলের মাঝে মাঝে বিবাদের ঘটনাও ঘটত। কিছুদিন আগে আকাশ অনিলের স্মার্টফোন ভেঙে দেয়। সেই রাগে অনিলও আকাশের মোবাইল ভেঙে দেয়। তারপর থেকে আকাশ ও তার পরিবারের লোকজন অনিলের মাকে এবং অনিলকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আকাশের সঙ্গে অনিলের কথাবার্তা বন্ধ ছিল। অনিল বিয়ের করার জন্য দিনমজুরের কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করছিল। তার মায়ের অভিযোগ, অনিলকে বিয়ে না করার জন্য চাপ দিত তার বন্ধু আকাশ। বুধবার সকালে পাথর খাদানে অনিল দিনমজুরের কাজে বের হচ্ছিল। হঠাৎ অনিলের বাড়িতে হাজির হয় আকাশ। অনিলকে নিয়ে যায় আকাশ।সারাদিন অনিল বাড়ি ফেরেনি।
সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান মা। তখনই খবর আসে রঘুনাথপুর ও পারুলিয়া সংলগ্ন পাথর খাদানে অনিলের হাত পা বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই খুনের পিছনে আকাশ জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ আকাশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। অনিলকে সত্যিই কে খুন করল, খুনের পিছনে আসল কারণ কী, এসব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।