বিবেকের বাণী: যিনি লঘুচিত্তের মানুষ তিনি যা করেন আবেগের বশেই করে ফেলেন। সে কাজ অন্যায় হল কী ন্যায় হল, সে কাজের পরিণাম তাঁর পক্ষে ভালো হবে কি মন্দ হবে, সে সব নিয়েও তাঁর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই -অন্যের মঙ্গল চিন্তা তো দূরের কথা! যা আপাতমধুর, আপাতসুখকর তাই তিনি আঁকড়ে ধরেন, ভবিষ্যতে তার পরিণাম কি হতে পারে, সে চিন্তা তিনি করেন না। তিনি সবকিছুর ওপরটাই দেখেন, সেটিই তাঁর কাছে মূল্যবান, সব তলিয়ে দেখার ধার তিনি ধারেন না।
বিচক্ষণ ব্যক্তি কোন কাজে নামার আগে বিচার বিবেচনা করে যখন দেখেন কাজটি শুধু ভালোই নয়, ন্যায়সঙ্গতও বটে, তখনই তিনি কাজে হাত দেন। তিনি চিন্তাশীল মানুষ, সবসময় বিবেকের নির্দেশ মেনে চলতে চান। বিবেকের এই অস্ফুট বাণী তখনই শোনা যায় যখন মানুষ শান্ত, সমস্ত উত্তেজনা থেকে মুক্ত, যখন তার মন সম্পূর্ণ নিজের বশে থাকে।
আবেগ ও সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যখন কোন মানুষ কোনও বিষয়ের ভালো মন্দ দুটি দিকই বিচার করে তখন বিবেকের কন্ঠস্বর শোনা যায়। বিবেক তো সর্বদাই কথা বলছে, কিন্তু অশান্ত ও কোলাহলমুখর জীবনের আবর্তে আবেগতাড়িত হয়ে ভেসে চলা মানুষের কানে সে বার্তা পৌঁছয় না। (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)