মায়ের কাছে প্রশ্ন: সুভাষচন্দ্র তাঁর একটি পত্রে মায়ের কাছে জানতে চাইলেন—মা আপনার মতে শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? ছাত্রজীবন শেষ করলে আমাদের কোন্ কাজে নিযুক্ত দেখলে আপনি সর্বাধিক আনন্দ লাভ করবেন? জজ ম্যাজিষ্ট্রেট ব্যারিষ্টার কিংবা অন্য কোন হাকিমের গদিতে বসলে ? ধনকুবের বলে সংসারী লোকের দ্বারা পূজিত হলে অথবা প্রচুর ধনশালী, গাড়ি, ঘোড়া, মোটর প্রভৃতির অধিকারী, নানা দাসদাসীর প্রভু, প্রকাণ্ড অট্টালিকা ও বিপুল জমিদারীর অধিকারী হলে সর্বাধিক আনন্দ হবে—না দরিদ্র হলেও পণ্ডিতদের দ্বারা এবং গুণীজনদের দ্বারা প্রকৃত মানুষ বলে পূজিত হলে আপনার সর্বাপেক্ষা আনন্দ হবে তা জানি না।
দয়াময় ভগবান আমাদের মানব জন্ম, সুস্থ দেহ, বুদ্ধি, শক্তি প্রভৃতি অমূল্য পদার্থ দিয়েছেন তাঁর পূজা এবং তাঁর সেবার জন্যই কিন্তু আমরা সমস্ত দিনের মধ্যে একবারও প্রাণখুলে তাঁকে ডাকি না। আমরা সংসারের ছার বস্তু নিয়ে কত অশ্রু ত্যাগ করি কিন্তু একবারও তাঁর উদ্দেশ্যে একবিন্দু অশ্রুও ফেলি না। আমরা যে পশু অপেক্ষাও অকৃতজ্ঞ ও কঠিনহৃদয়। ধিক্ সেই শিক্ষা যাতে ঈশ্বরের নাম নেই। নিষ্ফল তার মানব জন্ম যার মুখে ঈশ্বরের নাম শুনতে পাওয়া যায় না।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)