সোমবার রাত দশটা নাগাদ কেন্দা গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ডাকঘরের এজেন্ট বাপি গোস্বামীর ছয় বছরের মেয়ে মিষ্টির দেহ উদ্ধার হয় কুয়ো থেকে।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, পান্ডবেশ্বর, ১৪ নভেম্বর ২০২৩: রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুর মহকুমার পান্ডবেশ্বরে। শিশুকন্যার দেহ পড়ে কুয়োতে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে হাজার হাজার টাকার নোট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত দশটা নাগাদ কেন্দা গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ডাকঘরের এজেন্ট বাপি গোস্বামীর ছয় বছরের মেয়ে মিষ্টির দেহ উদ্ধার হয় কুয়ো থেকে।
জানা গিয়েছে, বাপি গিয়েছিলেন বালিজুড়িতে কালী প্রতিমার বিসর্জন দেখতে। বাড়িতে তাঁর মেয়ে মিষ্টিকে নিয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, বাবা ও মা। বিসর্জন দেখে ফেরার পথে বাপি জানতে পারেন, তাঁর বাড়িতে চুরি হয়েছে। মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ঢুকে দেখেন, ভিতরে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। আলমারিতে রাখা গ্রাহকদের পাশ বই, টাকা সব কিছু উধাও।সেই টাকাই চোরেরা যাওয়ার সময় রাস্তায় ছড়িয়ে দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? তাহলে কি টাকা চুরি উদ্দেশ্য ছিল না চোরেদের? তাই অত টাকা ছড়িয়ে ফেলে দিয়ে গেল চোরেরা? ডাকঘরের গ্রাহকদের পাশবই-ই বা কেন নিয়ে গেল চোরেরা সেগুলি তাদের কোন কাজে লাগবে? প্রতিবেশী ও দমকলের সহযোগিতায় পুলিশ মেয়ের দেহ উদ্ধার করে কুয়ো থেকে। বাপির স্ত্রী জানান, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কী হয়েছে কিছু টের পাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে যান পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো চোরেদের কাউকে চিনে ফেলেছিল ছোট্ট মিষ্টি। তাই তার এই করুণ পরিণতি। সেক্ষেত্রে চোর বা চোরেদের দলের কেউ চেনা-পরিচিতদের মধ্যেই রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।