দুর্গাপুর দর্পণ, লাউদোহা, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: বৃহস্পতিবার রাতে টোল আদায় ঘিরে ট্রাক্টর মালিকদের সঙ্গে টোল কর্তৃপক্ষের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) গৌরবাজার। ভেঙে দেওয়া হয় বাইক, সিসিটিভি। আহত হয় উভয় পক্ষের কয়েকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশকে। শুক্রবার সেই টোলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনেই আসানসোল এবং দুর্গাপুর থেকে গৌরবাজার রুটের সমস্ত বাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদে নামলেন বাস মালিকরা। সমস্যার মুখে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গৌরবাজারে রয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও গৌরবাজার পঞ্চায়েতের একটি টোল। সূত্রের খবর, সেই টোল থেকে নেওয়া হচ্ছে ট্রাক্টর পিছু ৫০ টাকা আর বাস পিছু ১০০ টাকা। কিন্তু ট্রাক্টর মালিকরা এবং বাস মালিকরা এই টোল দিতে নারাজ। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাক্টর চালকদের সঙ্গে টোল কর্মীদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। শুরু হয় হাতাহাতি। অশান্ত হয়ে ওঠে গৌরবাজার এলাকা। বাস কর্মী রঞ্জিত চক্রবর্তীর অভিযোগ, সারাদিনে যতবার বাস যাতায়াত করবে প্রতি ট্রিপে ১০০টাকা করে দিতে হবে, জানায় টোল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাসে যাত্রী কম হওয়ায় তাদের পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু টোল কর্তৃপক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদে তাঁরা বাস বন্ধ করে প্রতিবাদে নেমেছেন। টোলের বরাত পাওয়া সন্তোষ চন্দ বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি থেকে টোলের বরাত পেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে টোল আদায় শুরু হয়। বালির ট্রাক্টর যাতায়াত করছে অথচ টোল না দিয়ে চলে যায়। টোল নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আলোচনার জন্য ডাকা হয় ট্রাক্টরের মালিকদের। ট্রাক্টরের মালিকরা এসে আলোচনায় যোগ না দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় টোলের সিসিটিভি, একটি বাইকও। এমনকি তাঁর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
যদিও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য মুখার্জি বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের জন্য কোনও টোল নেই। এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও সকাল থেকেই তৎপর রয়েছে মহকুমা প্রশাসনের পাশাপাশি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।