![](https://i0.wp.com/durgapur24x7.com/wp-content/uploads/2023/11/kanksa-murder.jpeg?fit=1080%2C612&ssl=1)
তিন জনের দেহ পড়েছিল বাড়ির তিন জায়গায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা, ১০ নভেম্বর ২০২৩: শুক্রবার দুপুরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার রেল পাড় সারদাপল্লি এলাকায়। বাড়িতে ঢুকে তিনজনকে ‘খুন’ করে চম্পট দিল আততায়ী। জানা গিয়েছে, তার মাথা ঢাকা ছিল হেলমেটে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সারদাপল্লির বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা কিছুদিন আগে সস্ত্রীক আসামে মেয়ের কাছে গিয়েছেন। এখন বাড়িতে ছিলেন তাঁর এক মেয়ে, ধনঞ্জয়ের শাশুড়ি এবং শ্যালকের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে ধনঞ্জয়ের ভাইয়ের স্ত্রী দেখতে পান, হেলমেট পড়া এক ব্যক্তি ধনঞ্জয়ের বাড়িতে এসেছে। কিছুক্ষণ পরে সে চলে যায়।
এরপরেই ঘরে গিয়ে ধনঞ্জয়ের ভাইয়ের স্ত্রী তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। দুটি ঘরে পড়ে ছিল মেয়ে ও শাশুড়ির দেহ। শালার ছেলের দেহ পড়েছিল উঠোনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিনজনের নাম সিমরন বিশ্বকর্মা (মেয়ে), সীতা দেবী (শাশুড়ি) এবং সনু বিশ্বকর্মা (শ্যালকের ছেলে)। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানায়।
ঘটনাস্থলে আসেন এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সওয়াল, ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম। খবর দেওয়া হয় ফরেন্সিক বিভাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। মেয়ে এবং শাশুড়ির গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শালার ছেলে পড়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়।
ধনঞ্জয়ের ভাই, তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তিনজনকেই খুন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও অনুমান, তিনজনকে খুন করা হয়েছে। যদিও কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।