দামোদরের দুই পাশ থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের জেরেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দাবি করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৩ অক্টোবর ২০২৩: দামোদরের দুই পাশ থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের জেরেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের ডিভিসি ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দাবি করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া।
ঝাড়খন্ডে ভারী বৃষ্টি এবং এই রাজ্যের পশ্চিমাংশে বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে অজয়, দামোদর সহ সব নদ-নদীতে। দামোদরের জল বাড়ায় মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারেজেও। সেই চাপ কমাতে ছাড়া হচ্ছে জল। ব্যারাজ (Durgapur Barrage) থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১ লক্ষ ১ হাজার কিউসেক। রাতে বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তা পোঁছে গিয়েছে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭০০ কিউসেকে। তবে দুপুর ২ টা নাগাদ তা কিছুটা কমে হয় ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিম্ন দামোদরে পশ্চিম বর্ধমানের অংশবিশেষ ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া প্রভৃতি জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে
ইতিমধ্যেই নবান্নে জরুরি বৈঠক হয়েছে ৭ জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে। মঙ্গলবার ব্যারাজ পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া। সাংসদ বলেন, ‘‘অবৈধ বালি উত্তোলনের জেরে দামোদর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের ঘটনা ঘটছে। রাজ্য সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। নদীর মাঝের অংশের বালি তুলে নদীর আকৃতি ইংরাজি ভি অক্ষরের মতো হওয়া দরকার। কিন্তু মাঝে বালি না তুলে তোলা হচ্ছে দু’পাশ থেকে। এর ফলে নদীর দুই পাশ গভীর হয়ে যাচ্ছে। ব্যারাজ থেকে জল ছাড়লেই নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, দামোদর পলি মুক্ত করার জন্য সেচ দফতরকে এগিয়ে আসতে হবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।