নতুনদের স্বাগত জানাতে একমাস ধরে ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ কলেজে

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১১ অক্টোবর ২০২৩: কলেজে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে একমাস ধরে ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ হল কলেজে। এই সময়ের মধ্যে নানা রকম কর্মসূচী নেওয়া হয়। পড়ুয়ারা এই সব কর্মসূচীতে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে পড়ুয়ারা দ্রুত একাত্ম হয়ে ওঠে কলেজের সঙ্গে।

পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের Dr. B. C. Roy Engineering College (BCREC) এবং Dr. B. C. Roy Academy of Professional Courses (BCRAPC) যৌথভাব ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচীর আয়োজন করেছিল। উদ্বোধন করেন MAKAUT এর প্রাক্তন উপাচার্য তথা এই কলেজের পরামর্শদাতা ডঃ সৈকত মৈত্র। অধ্যাপক প্রিয়াঙ্কা রায় ও তাঁর টিমের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন কলেজের ট্রেজারার জার্নেল সিং, ডঃ সৈকত মৈত্র, BCREC এর প্রিন্সিপ্যাল ডঃ সঞ্জয় এস পাওয়ার, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ডঃ কেএম হোসেন, রেজিস্ট্রার ডঃ অরিন্দম মন্ডল, প্রশাসন বিভাগের প্রধান ডঃ অলোক কাহালি,  ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রামে’র যৌথ আহ্বায়ক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং ডঃ শশী বাজাজ।ডঃ সৈকত মৈত্র তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে পড়ুয়াদের জন্য ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রামে’র প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে কী কী দায়বদ্ধতা থাকতে হবে তা তিনি জানান। নিজেদের শৃঙ্খলাপরায়ণ করে তুলতে পড়ুয়াদের নিজেদের এনার্জির সঠিক প্রয়োগের উপরে গুরুত্ব দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াকে নিজেকে বুঝতে হবে তার শক্তি কোথায়, দুর্বলতা কী, কী কী সুযোগ সামনে আসতে চলেছে, কী বিষয় তাঁর সামনে প্রতিবন্ধকতা খাড়া করছে। সেই অনুযায়ী নিজেদের চালিত করতে হবে। তবেই আসবে প্রকৃত সাফল্য।’’  তিনি আরও জানান, একজন সফল ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে সন্দিগ্ধ এবং একই সঙ্গে সহযোগিতামূলক চিন্তাধারা জরুরী। 

ডঃ সঞ্জয় এস পাওয়ার তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে জানান, পড়ুয়াদের জন্য ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ এর প্রতিটি কর্মসূচী ছিল ৯দিনের। দীর্ঘমেয়াদী ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ এর উদ্দেশ্য হল, পড়ুয়াদের পেশাদার জীবনের উপযুক্ত মানসিকতা গড়ে তোলা। তিনি বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের সীমারেখা একটা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু একটা সময় পরে সব একাকার হয়ে যায়। তাই আজকের প্রতিযোগিতামূলক যুগে আন্তঃবিভাগীয় জ্ঞান খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’  তিনি জানান, তাই একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে কমিউনিকেশন স্কিল, গণিত, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং কম্পিউটারের জ্ঞান থাকা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান অমিতাভ চক্রবর্তী।

নতুন পড়ুয়াদের মধ্যে সাধারণ ইংরাজি এবং গণিতের স্কিল যাচাই করার জন্য দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ইংরাজিতে প্রথম হয় সিএসই বিভাগের রোহিত সেন। একই বিভাগের তনুশ্রী মন্ডল এবং সুইটি পাল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। গণিতে ইসিই বিভাগের ঋষি প্রসাদ, সিএসই বিভাগের অবন্তিকা মন্ডল এবং সিএসই বিভাগেরই মৌ মিশ্র যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। অনুষ্ঠান শেষ হয় রক্তদান শিবির, গাছের চারা বিতরণ, সামাজিক সচেতনতা অভিযানের মতো সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে। সবশেষে পড়ুয়াদের সঙ্গে কলেজের ফ্যাকাল্টি ও কর্মীদের ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে, ২০২৩ সালের এই ‘ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম’ মনের মধ্যে বিশেষ স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা।(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

আরও পড়ুন- যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইসরায়েলে আটকে ডাক্তারি পড়ুয়া দুর্গাপুরের তরুণী

Leave a Comment

error: Content is protected !!
mission hospital advt