সনাতন গড়াই, কাঁকসা: কাঁকসার জামবন গ্রামের কালী পুজোর বয়স ২০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এই পুজোর শুরু কীভাবে হয়েছিল জানেন? প্রবীণেরা জানান, জাম গাছের ঘন জঙ্গলের মাঝে গড়ে ওঠা জামবন গ্রামে তখন ডাকাতরা মাঝে মাঝেই হামলা করত। গ্রামের মহিলা কমলা বাগদি একদিন মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান। তিনি তালপাতার ছাউনি করে মাকে বড়মা রূপে পুজো করেন। পুজোর রাতে ডাকাতরা গ্রামে ঢোকে লুটপাট চালাতে। কথিত আছে, দেবী তখন রুদ্ররূপ ধারণ করেন। প্রবল ঝড় শুরু হয়। এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ডাকাত দল।
সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায় জন্মভূমি ধবনী থেকে পায়ে হেঁটে সঙ্গীত চর্চা করতে যেতেন জামবন গ্রামে। একসময় নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায় সেই গ্রামে বড় মায়ের পঞ্চমুন্ডি আসনে বসে তন্ত্র সাধনা শুরু করেন। ২০০ বছর পার হলেও সেই পুজোর উৎসাহে আজও ভাটা পড়েনি। পুজোয় গ্রামবাসীদের জন্য খুচুড়ি ভোগ, যাত্রা সহ নানান সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন গ্রামের সবাই।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
পুজো পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য সুদেব রায় বলেন, “আমরা শুনেছি আমাদের গ্রামে নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করতে আসতেন রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়। তিনি বড় মায়ের পঞ্চমুন্ডি আসনে বসেছিলেন। মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় আজও প্রচন্ড ঝড় হয়। অগাধ আস্থা আর ভক্তি ভরে মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে মা মনের ইচ্ছা পূরণ করেন। মায়ের পুজো যেদিন থেকে শুরু হয়েছে গ্রামের মানুষের সেদিন থেকে শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।