দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৯ আগস্ট ২০২৪: ইচ্ছে ও অদম্য জেদকে সঙ্গী করে কার্যত একের পর এক পাহাড় ডিঙিয়ে চলেছেন শর্মিতা বাক্চী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের রাজেন্দ্র অ্যাকাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশনের বি-এড এর প্রথম বর্ষের এই ছাত্রীর জন্য কোনও প্রশংসাই বোধ হয় যথেষ্ট নয়!হাতের লেখা দিয়েই না কী মানুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয় বোঝা যায়! সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে মোট ৩৫৭৭ জন হস্তাক্ষরের নমুনা জমা দেয়। তিনটি বিভাগ থেকে ৩০ জন করে মোট ৯০ জন চূড়ান্ত পর্বের জন্য বিবেচিত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শর্মিতাও। স্বরূপ-তাপস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওই হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ৪ আগস্ট। শর্মিতার অসাধারণ হাতের লেখার স্বীকৃতি দিতে ঝাড়গ্রাম থেকে কলেজে এসে তাঁর হাতে বিশেষ সম্মান তুলে দিয়ে গেলেন স্বরূপ-তাপস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ইন্দ্রনীল ঘোষ এবং স্বাতীলেখা ঘোষ।( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466)
শর্মিতা যাদবপুর থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন গোপালপুরে রাজেন্দ্র অ্যাকাডেমি ফর টিচার্স’ এডুকেশনের ছাত্রী। তিনি জেনেটিক রোগ Achondroplasia তে আক্রান্ত। সেজন্য তিনি সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। শিরদাঁড়ায় বক্রতাজাতীয় ত্রুটির কারণে দীর্ঘক্ষণ বসেও থাকতে পারেন না। শারীরিক উচ্চতা বেশ কম। কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা হেলায় হারিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমেও তিনি সমান দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।