এতোয়ারি মিঞাঁর আর ১মাস চাকরি ছিল। বাবাকে মেরে সেই চাকরি পাওয়ার লোভ পেয়ে বসেছিল ছেলের মনে।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, অন্ডাল, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বাবাকে খুন করল গুণধর ছেলে! শনিবার খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। অভিযোগ, চাকরির লোভে বাবাকে খুন করেছে ছেলে। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার চনচনি কোলিয়ারি এলেকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করা হয় খনি কর্মী এতোয়ারি মিঞাঁকে। এরপর হাত পা দড়ি দিয়ে বেঁধে যাতে মুখ চেনা না যায় সেজন্য পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে দিয়ে দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলের ধারে। শনিবার ধৃতকে নিয়ে গিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
গত ২১ জানুয়ারি ৫নং চনচনি কোলিয়ারি এলাকা থেকে বছর ৫৯ এর খনি কর্মী এতোয়ারি মিঞাঁ নিখোঁজ হয়ে যান।সেইদিনই অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডায়ের করে পরিবার। ২৩ জানুয়ারি বাঁকোলা সুভাষ কলোনির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় হাত, পা, গলায় দড়ি পেঁচানো এবং মুখে গভীর ক্ষতচিহ্ন থাকা ওই খনি কর্মীর দেহ। খুনের তদন্তে নেমে ৬ ফেব্রুয়ারি মৃতের ছেলে আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এতোয়ারি মিঞাঁর আর ১মাস চাকরি ছিল। বাবাকে মেরে সেই চাকরি পাওয়ার লোভ পেয়ে বসেছিল ছেলের মনে। ২১ জানুয়ারি কোলিয়ারির কাজ থেকে বাড়ি ফিরে পাড়ায় বসেছিলেন তিনি। ছেলে আব্দুল হাকিম তার টোটোতে বাবাকে চাপতে বলে। এতোয়ারি জানতে চান, কোথায় যাবেন? ছেলে জানায়, মুদিখানার দোকানে যাবে। তারপর টোটোয় চাপিয়ে বাবাকে নিয়ে যায় বাঁকোলা সুভাষ কলোনির জঙ্গলের দিকে।
রাস্তাতেই আব্দুল হাকিম টোটো থামিয়ে রাস্তা থেকে দড়ি কুড়িয়ে টোটোতে তোলে। তারপর বাঁকোলা সুভাষ কলোনির জঙ্গলে টোটো থামায়। বাবার গলায় থাকা গামছা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে বাবাকে। তারপর রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া দড়ি দিয়ে হাত, পা, গলায় বেঁধে, মুখ পাথর দিয়ে থেঁতলে জঙ্গলের ধারে ফেলে দেয়। পুলিশ গামছা, দড়ি, পাথর উদ্ধার করেছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।