দুর্গাপুর দর্পণ, ১৬ মে ২০২৪: পঞ্চায়েত সমিতি ও বিদ্যুৎ দফতরের টানাপড়েনে বন্ধ সবমার্সিবল পাম্প। এমনই অভিযোগ চাষীদের। সেচের জলের অভাবে মার খাচ্ছে চাষ। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) বিদবিহারের বাসুদেবপুরের ঘটনা। চাষী উত্তম ঘোষ অভিযোগ করেন, এক বছর আগে চাষের সুবিধার জন্য সরকারি সবমার্সিবল বসানো হয়। কিন্তু আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ফলে পাম্প চালু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেচের জলের অভাবে বিঘার পর বিঘা জমি পড়ে থাকে। চাষ হয় না। পাম্প চালু হলে সুবিধা হয়। বছরভর চাষ হবে। এলাকার আর্থিক উন্নতি হবে। একাধিকবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন চাষীরা। একই অভিযোগ তুলেছেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মধু রুইদাস-ও।
তিনি জানান, এক বছর আগে যখন তিনি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তখন চাষীদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রায় ৮ লক্ষ ২০ হাজার ৯৫০ টাকা ব্যয় করে দুটি ঘর তৈরি করে দুটি সবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়। ভেবেছিলেন, পাম্প থেকে জল উঠবে। গ্রীষ্মেও এলাকার জমিতে চাষবাস হবে। মধু বলেন, কিন্তু ২০২৩ সালে নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য।
পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য অবশ্য দাবি করেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বিডিও অফিস থেকে যা টাকা দেওয়া হয়েছিল তার থেকে বেশি টাকা দাবি করছে বিদ্যুৎ দফতর। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। নির্বাচন বিধি উঠে গেলে সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।