![](https://i0.wp.com/durgapur24x7.com/wp-content/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-2024-04-24-at-09.21.49.jpeg?fit=1080%2C590&ssl=1)
দুর্গাপুর, ২৪ এপ্রিল ২০২৪: নির্বাচনী প্রচারে এসে মঙ্গলবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি হোটেলে উঠেছেন। তিনি শহরে থাকাকালীনই তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদের ঘটনা সগড়ভাঙার একটি বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানায়। নিয়োগের দাবিতে কারখানার গেটে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে তুমুল বিক্ষোভ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়কের চাপে গুটিয়ে দুর্গাপুরের তৃণমূলের নেতারা, এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
আন্দোলনরত তৃণমূলের এক কর্মী কার্তিক পালের অভিযোগ, নেতা, মন্ত্রীর কাছে গিয়েও তাঁরা কাজ পায়নি অথচ বহিরাগতরা বাঁকুড়া, বীরভূম পুরুলিয়া থেকে এসে দিব্বি কাজ করছেন। তৃণমূল কর্মীদের আন্দোলনের চাপে গত ১৫ মার্চ দশ জনকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সকালে তাঁরা কাজে এলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আটকে দেন তাঁদের। ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।
এরপরেই একে একে বহিরাগতদের কারখানার গেট থেকে বাইরে বের করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ, দলের নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক হুমকি দিচ্ছেন, দুর্গাপুরের নেতারা যদি বাঁকুড়ার লোকদের ঢুকতে না দেন, তাহলে দুর্গাপুরের লোকদের বাঁকুড়াতে কাজ করতে দেবেন না। এতে দুর্গাপুরের নেতারা ভয়ে কোনও কথা বলছেন না বলেও অভিযোগ। তাই তাঁরা গেট থেকে নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকাকালীন এই ঘটনায় সামগ্রিক ভাবে বিড়ম্বনায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা রমজান আলী বলেন, বড়জোড়ার বিধায়ক চাপ দিচ্ছেন একজনকে কাজে ঢোকানোর জন্য। দুর্গাপুরের নেতারা কিছু বলছেন না। মাঝখান থেকে আমি অসহায়। দলের এতে খারাপ হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে, লড়াই করে যারা তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে তাদের কাজ নেই। শুধু টাকার লোভে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের কাজের দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা টাকার জন্য বাইরের লোক নিচ্ছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।