
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১১ জানুয়ারি ২০২৪: পাথর খাদানে বন্ধুকে নৃশংস ভাবে খুন করে দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশ অভিযুক্ত আকাশ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ায় হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া বছর ২০র অনিল ভূঁইয়ার দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, অনিলের প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ। অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম ট্যাটু করে লেখা ছিল। তদন্তে নেমে এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের খোঁজ পায় পুলিশ। অনিলের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর, সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চাইছিল আকাশ। তা নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বুধবার সকালে ভুল বুঝিয়ে অনিলকে আকাশ নিয়ে যায়। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতেই অনিলের হাত শরীরের পিছনে বেঁধে এবং দুটি পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে আকাশ।
এরপর আকাশ অন্ডালের বহুলার দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। সেখান থেকেই বুধবার রাতে আকাশকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। অনিলের মা সীতা ভূঁইয়ার অভিযোগ, তাঁর ছেলে ও আকাশের মধ্যে বিবাদের ঘটনাও ঘটতো। কিছুদিন আগে আকাশ অনিলের স্মার্টফোন ভেঙে দেয়। সেই রাগে অনিলও তার বন্ধু আকাশের মোবাইল ভেঙে দেয়। তারপর থেকে আকাশ এবং আকাশের পরিবারের লোকজন অনিলের মাকে এবং অনিলকে রীতিমত হুমকি দিত বলে অভিযোগ।
বেশ কিছুদিন আকাশের সাথে অনিলের কথাবার্তাও বন্ধ ছিল। অনিল বিয়ে করার জন্য দিনমজুরের কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করছিল। তাঁর মায়ের অভিযোগ, অনিলকে রীতিমতো বিয়ে না করার জন্য চাপ দিত আকাশ। বুধবার সকালে পাথর খাদানে অনিল দিনমজুরের কাজে বের হচ্ছিল। তখনই ভুল বুঝিয়ে আকাশকে নিয়ে যায় অনিল। সন্ধ্যায় খবর আসে পারুলিয়া সংলগ্ন পাথর খাদানে অনিলকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত আকাশকে। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।