দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে সম্প্রতি লোহা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের দুই নেতা রিন্টু পাঁজা ও অরবিন্দ নন্দীকে। তাদের জেরা করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার জামিনে চারজন ছাড়া পেয়ে যায়। তবে এদিনই দুর্গাপুর আদালতে লোহা চুরির দায়ে আরও দুজনকে তোলা হয়। বিচারক জামিন না মঞ্জর করে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঞ্জিলাল অ্যাভিনিউয়ের যে কারখানার লোহা চুরির দায়ে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, সেই কারখানার লোহা চুরির দায়েই নিউ টাউনশিপ থানার বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ৯ নং রাজ্য সড়কের এইচএফসিআই মোড় থেকে গ্রেফতার করে আরও ২ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় লোহা বোঝাই পিকআপ ভ্যান। ধৃত সাগর আঁকুড়ে ও রাজা খান দাবি করে, তারা সাগরভাঙার একটি লোহার কাঁটা থেকে লোহা কিনে গোপালপুরের একটি কাঁটায় সরবরাহ করছিল। লোহা চুরির সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোকওভেন থানায এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ কাঁটা চলে। সেগুলিতে নানা রকম অবৈধ কাজ হয়। বিভিন্ন কারখানা থেকে লোহা চুরির পর সেই কাঁটা থেকেই পাচার করা হয়। এতদিন তো পুলিশ দেখেও দেখছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর তৎপর হয়েছে পুলিশ। তবে কতদিন এই তৎপরতা থাকে সেটাই এখন দেখার।” পাল্টা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “বিরোধীদের ভাবা দরকার, রাজ্য সরকার প্রতি মুহূর্তেই অবৈধ কাজ বন্ধের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজ্যের পুলিশও তৎপর। সেজন্যই অপরাধীরা ধরা পড়ছে। তাদের শাস্তিও হচ্ছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।