দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির পরিত্যক্ত গাড়িগুলি ঢেকে দিতে বলল দুর্গাপুর পুর নিগম। ডেঙ্গি সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। তাই শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুর নিগমে রবিবার জরুরী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে পুর নিগম। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে যোগ দেন পুর নিগমের কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায়, পুর নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি, পুর নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবব্রত সাহানা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে এলাকার সমস্যা জানাতে গিয়ে এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, থানায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত গাড়িগুলিতে বৃষ্টির জল জমে। সেই জলে মশার লার্ভা বেড়ে ওঠে। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে বিষয়টি দেখেছেন। সেই সব গাড়িগুলিকে ঢেকে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
দুর্গাপুর পুর নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মোট ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ৪৩টি ওয়ার্ডেই টায়ারের দোকানগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। জমা জল সাফ করার কাজ হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় গাপ্পি মাছের চারা ছাড়া হচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পুর নিগমের ৪টি বরোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন, “পুর নিগম এলাকায় ডেঙ্গি বাড়ছিল। তাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছ থেকেও এলাকার সমস্যার কথা শোনা হয়। থানার পরিত্যক্ত গাড়িগুলি যাতে ঢাকা দেওয়া হয় সেই দাবি আমরা পুলিশের কাছে রেখেছি। পুলিশ সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা ডেঙ্গি মোকাবিলা করতে এলাকায় এলাকায় প্রচার, স্প্রে এবং সাফাই অভিযানে জোর দিয়েছি।” এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, “আমি নিউ টাউনশিপ, কোকওভেন ও দুর্গাপুর থানার পরিত্যক্ত গাড়িগুলিকে ঢেকে দেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।