অমৃত বচন: ঈশ্বরকে দেখতে হলে হৃদয় চাই, বুদ্ধি দিয়ে হয় না। বিচারের মূল্য অপেক্ষা হৃদয়ের প্রয়োজন বেশি। বুদ্ধি কেবল ঝাড়ুদারের মতো রাস্তা পরিষ্কার করে দেয় -বুদ্ধি গৌণভাবে আমাদের উন্নতির সহায়ক হতে পারে। বুদ্ধি প্রহরীর মতো, কিন্তু সমাজের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রহরীর বেশি প্রয়োজন নেই। তাকে কেবল গোলমাল থামাতে হয়, অন্যায় নিবারণ করতে হয়। হৃদয়-অনুভবই বাস্তবিক কাজ করে।
হৃদয় বিদ্যুত্ অথবা আরও দ্রুতগামী বস্তু অপেক্ষা দ্রুত গমণ করে থাকে। হৃদয়ে যদি এতটুকু অনুভব শক্তি থাকে তাহলে তা প্রবল হবে, ক্রমশ বাড়তে থাকবে, দেবভাবাপন্ন হতে থাকবে যতদিন না তা সবকিছুতে, সর্ববস্তুতে একত্ব অনুভব করতে পারে -নিজের মধ্যে ও অপরের মধ্যে ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারে। বুদ্ধি তা পারে না।
বিভিন্নরূপে শব্দযোজনার কৌশল, শাস্ত্রব্যাখ্যা করার বিভিন্ন প্রণালী কেবল পণ্ডিতদের আমোদের জন্য, মুক্তির জন্য নয়। তুমি কি অপরের জন্য প্রাণে প্রাণ অনুভব করছ? যদি কর, তবে তোমার হৃদয়ে একত্বের ভাব বর্ধিত হচ্ছে; ঈশ্বর তোমার সহায় হবেন। যদি না কর, তবে তুমি একজন বড় বুদ্ধিজীবী হতে পার, তোমার কিছুই হবে না কেবল শুষ্ক বুদ্ধিজীবী হয়ে থাকবে। (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)