কেন ধর্মকর্ম? বহু মানুষেরই প্রশ্ন, এত ব্রত উপবাস করেও কেন শান্তি পাচ্ছি না? আবার ধর্মের পথে গিয়েও মানুষ কেন আতঙ্কবাদী ও অত্যাচারী হয়ে ওঠে? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় এর উত্তর দিলেন। চার রকম মানুষ ধর্মের পথে আসে—আর্ত, অর্থার্থী, জিজ্ঞাসু ও জ্ঞানী।
বিপদে পড়ে সংকট মোচনের জন্য যারা আসেন —আর্ত। এরা দুঃখী, সমস্যার যাঁতাকলে পড়া মানুষ। বিপদ থেকে ভগবান রক্ষা করবেন এই আশায় ধর্মকর্মে মন দেওয়া। যারা অর্থ,সম্পদ ও মানযশের জন্য এ পথে আসেন—অর্থার্থী। বিপদে পড়ে নয়, আরও বেশি কিছু পাওয়ার জন্য এরা এসেছেন। যারা জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে এ পথে এসেছেন তারা জিজ্ঞাসু। আর জ্ঞানী ব্যক্তি ধর্মে রত থাকেন কারণ তিনি জানেন এটাই সুস্থ পথ। জীবনকে সুন্দর করে তুলতে হলে ধর্মচেতনার দরকার। এই সত্য তিনি জেনেছেন।
সব ধর্মেই আচার অনুষ্ঠান আছে, নানান সাধনার পথ আছে। ধর্মীয় তত্ত্বকে কর্মের মাধ্যমে ব্যবহারিক জীবনে রূপ দেওয়াই আচার অনুষ্ঠানের লক্ষ্য। মূল্যায়ন করতে হবে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি নাকি বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। চেতনায় ও আচরণে পরিবর্তনের দ্বারাই বুঝতে পারব ধর্মপথে এগোচ্ছি কি না।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)