বুদ্ধিযোগ প্রদান: ভগবান নানাভাবেই মানুষকে সাহায্য করেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ কৃপা মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করা। বুদ্ধদেবও তাঁর অষ্টাঙ্গিক মার্গে এই সম্যক দৃষ্টির কথা বলেছেন। এই সম্যক্ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনের সবচেয়ে মহার্ঘ বস্তু। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, আমি তাঁদের বুদ্ধিযোগ প্রদান করি, যার সাহায্যে তাঁরা আমাকে লাভ করেন, আমার কাছে আসেন।
আমরা কীটপতঙ্গের মতো শুধু শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি; জীবজন্তুর মতো ইন্দ্রিয়ের স্তরেও বেঁচে থাকতে পারি, বুদ্ধিজীবীদের মতো মানসিক বা বৌদ্ধিক স্তরেও বেঁচে থাকতে পারি আবার উচ্চ আধ্যাত্মিক স্তরে উঠে সকলের অন্তরে নিহিত যে গভীরতম সত্য, তাকে আশ্রয় করে পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারি। এগুলি সবই এক একটা স্তর, যেখান থেকে চৈতন্য সক্রিয় হয়।
যখন ইন্দ্রিয়ের স্তরে চৈতন্যের ক্রিয়া হতে থাকে, তখন আমরা সুখী হই, দুঃখী হই, আমরা ভালো হতে পারি, মন্দ হতে পারি। কারণ ইন্দ্রিয়গুলি বেপরোয়া, তারা যে কোন্ দিকে আমাদের টেনে নিয়ে যাবে তার ঠিক নেই। বৌদ্ধিক স্তরেও এই দুরবস্থা। কিন্তু একবার গভীর আধ্যাত্মিক স্তরের স্পর্শ পেলে মানুষ পাল্টে যায়। তখন সবটাই ইতিবাচক, নেতিবাচক কিছু থাকে না। (সংকলক-সন্দীপ সিনহা)