আইন ও নীতিবোধ: অপরাধ লাঘব করার জন্য আমাদের সকলের কাছে একটি উপায় হলো প্রহরীর সংখ্যা বাড়ানো ও আইনের বাঁধন। কিন্তু এখন আমরা দেখছি আইন প্রণেতারাই বেশি আইন ভাঙেন। কারণ আইন প্রয়োগ করে মানুষকে নীতিবান করা যায় না। আর মানুষ যদি নীতিহীন হয় আইনকে সে বুড়ো আঙুল দেখাতে ফাঁক খুঁজবে। আসলে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতিটাই আসল।
নীতিবান মানুষের জন্য আইনের বাঁধন দরকার হয় না, সে নিজের বিবেকের তাড়নায় আইন মেনে চলতেই অভ্যস্ত। শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক উন্নতির উন্মেষ ঘটানো যাতে মানুষ সমাজের অন্য সকলের সঙ্গে শান্তিতে বাস করতে পারে, সুরুচিসম্পন্ন নাগরিক হতে পারে। নীতিবোধ আসে শিক্ষা থেকে,আইন থেকে নয়। “মানুষের মধ্যে যে পূর্ণতা আগে থেকেই রয়েছে তার বিকাশ ঘটানোই শিক্ষা।”
আমাদের উন্মেষ ঘটাতে হবে অন্তর্নিহিত সুন্দর সম্ভাবনাগুলির যাতে শান্তিপ্রিয়তা, শৃঙ্খলাবোধ, মানবিকতা ও সেবার মনোভাব অন্তর থেকে ফুটে ওঠে। এটি তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা মনকে প্রশিক্ষিত করে,তাকে সঠিক পথে চালিত করতে পারি। বাসনার দাস না হয়ে, সামান্য আত্মসংযম পালন করতে পারলে আমাদের চরিত্রই পাল্টে যাবে।—(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)