কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যারাজের পাশেই গড়ে উঠেছে ‘স্কাডা কন্ট্রোল রুম’।
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর ২০২৩: ‘স্কাডা কন্ট্রোল রুমে’ সর্বক্ষণের কর্মী চাই। তা না হলে এর আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। বুধবার পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের ডিভিসি ব্যারাজ পরিদর্শন করে একথা জানালেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সব সময় একজন কর্মী না থাকলে সময়ে খবর পাওয়া যাবে না। খবর পৌঁছে দেওয়া যাবে না বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলিতে।’’ঝাড়খন্ডে ভারী বৃষ্টি এবং এই রাজ্যের পশ্চিমাংশে বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে অজয়, দামোদর সহ সব নদ-নদীতে। দামোদরের জল বাড়ায় মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারেজেও। সেই চাপ কমাতে ছাড়া হচ্ছে জল। দুর্গাপুর ব্যারাজ (Durgapur Barrage) থেকে বুধবার বিকালে প্রায় ৯৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিম্ন দামোদরে পশ্চিম বর্ধমানের অংশবিশেষ ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া প্রভৃতি জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অবৈধ বালি খাদানের জেরেই বন্যা পরিস্থিতি
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে স্কাডা প্রযুক্তি (সুপারভাইসরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাটা অ্যাকুইজিশন) চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দফতর। ২০২২ সালে তা চালু হয়। তবে এখনও কর্মী সংখ্যার অপ্রতুলতার কারণে ঠিকমতো ফলাফল মিলছে না বলে অভিযোগ। এদিন সাংসদ আলুওয়ালিয়াও সেকথা বলেন। সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ কর্মী না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে সেচ দফতর। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।