দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৯ জুলাই ২০২৩: জীবনের সিংহভাগ সময় ব্যয় করেছেন প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধির জন্য। সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই যখন তাঁকে বিদায় নিতে হয়, কোথাও যেন একটা বিষাদের সুর থাকে বৈ কি! সে দুই তরফেই। প্রতিষ্ঠানও চায় না সেই ব্যক্তিত্বকে ছেড়ে দিতে। অন্যদিকে, তাঁরও মন চায় না প্রতিষ্ঠানকে ছেড়ে যেতে। তবু যেতে হয়। কারণ, এটাই জগতের নিয়ম।সেই নিয়ম মেনেই শুক্রবার অবসর নিলেন Dr. B. C. Roy College of Pharmacy and Allied Health Sciences এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং পরে ডিরেক্টর, অধ্যাপক ডঃ সুব্রত চক্রবর্তী। কার্যত, এই কলেজের গাইড, মেন্টর এবং ফিলোজফার ছিলেন তিনি। BCRCP এর পিসি রায় সেমিনার হলে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন MAKAUT এর প্রাক্তন উপাচার্য তথা Dr. B. C. Roy Engineering College Society-র পরামর্শদাতা ডঃ সৈকত মৈত্র, সম্পাদক তরুণ ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ জার্নেল সিং, BCRCP-র অধ্যক্ষ ডঃ সমীর কুমার সামন্ত এবং অন্যান্য সোসাইটি সদস্য, ফ্যাকাল্টি, আধিকারিক ও কর্মীরা।
BCRCP যাত্রা শুরু করে ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। তরুণবাবু তাঁর বক্তব্যে, কীভাবে এই কলেজকে বিদায়ী ডিরেক্টর সুব্রতবাবু দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেকথা তুলে ধরেন। সেই পথ মোটেও সুগম ছিল না। ছিল আঁকা-বাঁকা, বন্ধুর। আজ এই কলেজ NAAC স্বীকৃত, NIRF এর তালিকায় দেশের সেরা ১০০ কলেজের অন্যতম। এই কলেজের B. Pharm. কোর্স NBA স্বীকৃত। সৈকতবাবু তাঁর বক্তব্যে সুব্রতবাবুর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সান্নিধ্যের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “এই কলেজের অগ্রগতির পিছনে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
সুব্রতবাবু তাঁর সন্তানসম এই কলেজকে ভবিষ্যতে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। কলেজের অধ্যক্ষ সমীরবাবু যে কোনও মূল্যে সুব্রতবাবুর উত্তরাধিকার সাফল্যের সঙ্গে বহন করে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। পড়াশোনা, গবেষণার পাশাপাশি দেশের কাজে নিয়োজিত এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সুব্রতবাবু কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে, কলেজের তরফে তাঁর সুখী ও দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করা হয়। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।