দুর্গাপুর দর্পণ, ৪ জুলাই ২০২৪: সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর শহরের রাস্তাঘাটের দুই দিক ঢেকে গিয়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়ামের (Parthenium Plant) জঙ্গলে। ফাঁকা জায়গাতেও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পার্থেনিয়াম। শহরবাসীর অভিযোগ, পুরসভার তরফে পার্থেনিয়াম নিধনে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অথচ পার্থেনিয়ামকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার। অবিলম্বে পার্থেনিয়াম সাফাইয়ের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখার্জির কাছে বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দেয় জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। চেয়ারপার্সেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
পার্থেনিয়াম মূলত আগাছা। এই গাছের আসল নাম ‘পার্থেনিয়াম হিস্টেরোফরাস’। আদি নিবাস উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং উত্তর-পূর্ব মেক্সিকো। কয়েক দশক আগে আমেরিকা থেকে পাঠানো গমের বস্তায় এই গাছের বীজ ভারতে আসে। পার্থেনিয়ামে রয়েছে ‘পার্থেনিন’ নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান এবং এক ধরনের টক্সিন বা বিষ। যা ভীষণ ক্ষতিকর। পার্থেনিয়াম ফুলের রেণু বাতাসে ছড়িয়ে মানব শরীরে ঢুকে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ হতে পারে। গবাদি পশু পার্থেনিয়াম গাছ খেয়ে ফেললে অসুস্থ হতে পারে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বিধাননগর, ডিএসপি টাউনশিপ, এমএএমসি টাউনশিপ সহ বিভিন্ন জায়গায় পার্থেনিয়ামের ঝোঁপ মাথা তুলেছে। এই গাছ থেকে রেণু যাতে ছড়িয়ে পড়ে বংশবিস্তার করতে না পারে, সে জন্য পার্থেনিয়াম গাছ কেটে মাটিতে পুঁতে দিতে হয়। তা ছাড়া ৪-৫ লিটার জলে এক কেজি নুন ভাল করে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ও পাতায় ছিটিয়ে দিলে দু’দিনের মধ্যে গাছ মারা যায়। তবে সাফাই করার সময় শরীর, হাত, মুখ, নাক ঢেকে রাখা জরুরি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।