দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১৮ জুলাই ২০২৩: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর আদালতে (Durgapur Court) চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এসিজেএম বিচারক অসীমানন্দ মন্ডল ভোট গণনার দিনে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের উপরে হামলায় অভিযুক্ত ধৃত তৃণমূলের ১১জন কর্মীর জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রতিবাদে এসিজেএম বিচারকের এজলাস বয়কট করার অভিযোগ উঠেছে বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতেই বার অ্যাসোসিয়েশন এজলাস বয়কট করছে। কারণ, বার অ্যাসোসিয়েশন হল তৃণমূলের দলদাস। এভাবে বিচারব্যবস্থার উপরে লাগাতার চাপ সৃষ্টি করছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দাবি করেন, তৃণমূল কখনও বিচারব্যবস্থায় নাক গলায় না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এজলাস বয়কটের কথা এসিজেএম বিচারক জানান জোনাল জজ হিসাবে দুর্গাপুর আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতি এ’বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন দুর্গাপুরের এসিজেএম বিচারককে। এরপরেই অচলাবস্থা কাটাতে আসরে নামতে দেখা যায় বার অ্যাসোসিয়েশনকে। মঙ্গলবার বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক হয় বার অ্যাসোসিয়েশনের।
বৈঠক শেষে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বুধবার বার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল বডির মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’’ যদিও এজলাস বয়কটের কথা স্বীকার করেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কী হয়েছিল সেটা আভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রকাশ্যে বলার নয়।’’ (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।