দুর্গাপুর দর্পণ, ২ জুলাই ২০২৪: প্রায় ছয় বছর আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তরফে কবি দত্ত দুর্গাপুরে আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস গড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন দফতরের সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর শেষ পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায়নি। এখন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়েছেন কবি দত্ত। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে ফের উদ্যোগ শুরু হয়েছে আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস গড়ার।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কনফারেন্স রুমে এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ঠিক হয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দুর্গাপুরে অত্যাধুনিক মানের আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনালের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রণব ঘোষ, এডিডিএ এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত, মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সহ পুলিশের আধিকারিকেরা।
কিশোরীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ধুন্ধুমার কান্ড
মুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ সালেই নির্দেশ দেন, দুর্গাপুরে আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস গড়ার। ডিভিসি মোড় লাগোয়া ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেডের (বিওজিএল) পরিত্যক্ত ৪৫ একর জমিতে টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। টার্মিনালে বসা, থাকার ব্যবস্থা, রেস্তোঁরা, এটিএম কাউন্টার সহ সব ধরণের আধুনিক পরিষেবা থাকার কথা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নানা বাধা বিপত্তির জেরে সেই টার্মিনাল গড়া সম্ভব হয়নি। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন টার্মিনাল গড়ার। কয়েক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। তবে নব নিযুক্ত এডিডিএ এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত উদ্যোগী হন এই টার্মিনাল করার। এডিডিএ, পুরসভা, মহকুমা প্রশাসন, ট্রাফিক আধিকারিক এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। টার্মিনাল কিভাবে তৈরি হবে, কত টাকার প্রয়োজন, সেই সব বিশদে জানতে একজন আর্কিটেক্টও নেওয়া হয় বৈঠকে। সমস্ত দিক ঠিক থাকলে এবং অনুমোদন মিললে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে টার্মিনাল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া দুর্গাপুরকে সাজিয়ে তোলার জন্য একটি আর্ট গ্যালারি সহ প্রেক্ষাগৃহ এবং ডিভিসি মোড় থেকে গান্ধী মোড় পর্যন্ত রাস্তা সুসজ্জিত করা হবে। গড়ে তোলা হবে নতুন বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রও।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।