সনাতন গরাই, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১৭ অক্টোবর ২০২৩: গত ১০ বছর ধরে দেবীকে মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপ দিয়ে চলেছেন তিনি। গ্রামবাসীদের কাছে রীতিমতো ‘মডেল’ পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসার গোপালপুরের এক গ্রামীণ বধূ। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও এগিয়ে চলেছেন স্বনির্ভরতার পথে।
তাঁর নাম গায়ত্রী দাস। ২৫ বছর আগে গোপালপুরের মৃৎশিল্পী গঙ্গাধর দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় গায়ত্রীর। অভাবের সংসার। বিয়ের পর থেকেই নানান প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু দমে যাননি। বাড়িতে স্বামী গঙ্গাধরকে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর মূর্তি গড়তে দেখেছেন। স্বামীরা কাজ দেখে একটু একটু করে অনুপ্রাণিত হয়েছেন গায়ত্রী। একসময় তিনিও নেমে পড়েছেন স্বামীর কাজে হাত লাগাতে।
প্রায় ৫ বছর ধরে স্বামীর কাছ থেকে নিয়েছেন হাতেকলমে পাঠ। এরপর নিজেই মূর্তি গড়তে শুরু করে দেন। মলানদিঘির ভট্টাচার্য পরিবার, ঘটক পরিবার সহ এলাকার বহু বনেদি পরিবারের দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ তিনি করে চলেছেন। গত ১০ বছর ধরে হাতে তুলি নিয়ে নারীদের এগিয়ে চলার বার্তা দিয়ে চলেছেন এভাবেই। তাঁকে দেখে অনেকেই বিভিন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে তুলে আর্থিক স্বয়ম্ভরতার পথে এগিয়ে চলেছেন।
ভট্টাচার্য পরিবারের মেয়ে প্রিয়া ব্যানার্জি জানান, বিয়ের পর থেকে তিনি গায়ত্রী দাসকেই দেখছেন তাঁদের পরিবারের মন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করতে। গায়ত্রীর স্বামী গঙ্গাধর জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে প্রতিমা নির্মাণ করে যেটুকু রোজকার করতেন তাতে দুই ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন। স্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় খুব সুবিধা হয়েছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।